করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের ১.৩ কোটি নাগরিক চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে, অস্থায়ী কিংবা খণ্ডকালীন কর্মসংস্থানের সাথে নিয়োজিত নাগরিকেরা এই ঝুঁকিতে পড়েছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আয়োজনে ‘এসডিজি’র নতুন চ্যালেঞ্জ ও বাজেট ২০২০-২১’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। তারা বলছেন, ২০১৬-১৭ শ্রমশক্তি জরিপের উপাত্ত পর্যালোচনা করে এ প্রাক্কলন করা হচ্ছে। বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিলে কর্ম হারানোর ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। ভার্চুয়াল সংলাপে এসডিজি প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মূল প্রতিবেদন উপস্থান করেন।
সংলাপে বক্তরা বলেন, একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে পর্যায়ক্রমিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চলমান সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। মহামারির ফলে সৃষ্ট নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি কাঠামোকে বিশেষভাবে সন্নিবদ্ধ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দেশের পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতার আওতায় আনার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর জরুরি।
সংলাপে অংশ নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) বলেন, ‘চলমান অতিমারি থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সরকার একটি স্বল্পমেয়াদী কার্যক্রম হাতে নেবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ সকল উন্নয়ন কার্যক্রমেই সরকার দেশের ঝুঁকিতে থাকা সকল নাগরিকদের সহযোগিতা প্রদানের ব্যাপারটি বিবেচনায় থাকবে।’
এসডিজি প্ল্যাটফর্মের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সিপিডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান সংলাপে সভাপতিত্ব করেন।
চলমান মহামারিতে নারী, শিশু, বয়স্ক জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত জনগোষ্ঠী, যুবসমাজসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়েও সংলাপে আলোচনা হয়।
সংলাপে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরগুনা, সুনামগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উন্নয়ন কর্মী-বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, যুব প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ইউএনবি