বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের করোনা পর্যবেক্ষণ জাতীয় কমিটির প্রধান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, চারদিকে আজকে লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা যে তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে ওরা যা বলছে তার থেকে প্রায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে-মারা যাচ্ছে। মানুষ উপসর্গ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে টেস্ট করতে পারছে না। টেস্ট করতে এসে মারাও যাচ্ছে। রাস্তায় ট্রেনের টিকিট নেওয়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকছে। সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
রোববার (২১ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনআরসি) আয়োজিত করোনা নিয়ে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপি ৫৬ লাখ পরিবারকে খাবার দিতে পেরেছে। দলীয় কর্মীরা জমি বিক্রি করে, স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে, বাজারের পয়সা বাঁচিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এখন মাঠ থেকে যেটা খবর পাচ্ছি। আগে জ্বর-সর্দি হলে বলতো আমার জ্বর-সর্দি হয়েছে। কিন্তু এখন মানুষের মধ্যে এমন ভীতি এসে গেছে যে, জ্বর হলেও বলে না। ভয় পায়, বললে যদি একঘরে হয়ে যায়। পরিবার যদি ফেলে চলে যায়, সেজন্য বলে না। জ্বর হলে বলবে না, মারা যাবে তখন জানবো যে জ্বর হয়েছিল। এ সামাজিক ভীতি চলে আসছে। এটা ভয়াবহ অবস্থা হবে। মানুষকে বাঁচাতে এখনই সরকারের উচিত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে যে অবহেলা করা হচ্ছে, আজকের পত্রিকায় আছে আজিমপুর কবরস্থানে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। পোস্তগোলার শ্মশান থেকে শুরু করে ঢাকার সব শ্মশানে দাহ করার মতো জায়গা হচ্ছে না। কোনদিকে আমাদের ঠেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডেমোক্রেসি ডিভিডেন্ট বলতে একটা কথা আছে যে জনসংখ্যার সমষ্টিকে ভাল কাজে লাগানো। যেটা জিয়াউর রহমান সাহেব প্রথম করেছিলেন বাংলাদেশ থেকে শ্রম শক্তি রপ্তানি করে ১৯৭৬ সালে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৭ থেকে ১৮ কোটি মানুষের জন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে একটা আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স নেই। এজন্য কি আমরা ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ করেছি? বেসরকারি হাসপাতালে হাতেগোনা কয়েকটি আছে, তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ বাংলাদেশের মতো জায়গায় আমরা হিসাব করে দেখেছি, যে উপজেলা পর্যায়ে ৫টি ও জেলা পর্যায়ে ২০টি করে আইসিই বেড করা হয় তাহলে সর্বমোট খরচ লাগে মাত্র তিন হাজার কোটি টাকা। সোফিয়া নামক রোবট এনে ১২ কোটি টাকা খরচ করা হয়। জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করার জন্য ১২শ কোটি টাকা খরচ করা হয়। শেয়ার মার্কেট থেকে এক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়।
জহির উদ্দিন স্বপনের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় আরও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।