উত্তর কোরিয়া-বিরোধী লিফলেট বিতর্কে পড়শি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি আগেই দিয়েছিলেন স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন । তাতেও সেভাবে কাজ না হওয়ায় এবার দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে হানা দিল উত্তর কোরিয়া।
তবে সেনা-হামলা নয়, হামলার জন্য ২০টি লাউড-স্পিকার পাঠিয়েছেন কোরিয়ার কিম। সিওলের এক সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনই জানিয়েছে সংবদামাধ্যম এক্সপ্রেস। গত রোববারই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্তে এই স্পিকারগুলো বসানো হয়েছে।
কী কাজ এই ২০টি স্পিকারের? কোরীয় উপদ্বীপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই লাউড-স্পিকারে দক্ষিণ কোরিয়া বিরোধী স্লোগান চালানো হবে। এছাড়াও কিমের সমর্থনেও ব্যবহার করা হতে পারে ২০টি বড় বড় স্লোগান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সমালোচনা করে দক্ষিণ কোরিয়ায় লিফলেট বিলি করেছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকী সীমান্ত এলাকা থেকে বিশালাকায় বেলুনে করে উত্তর কোরিয়ায় কিম-বিরোধী লিফলেট পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। ওই লিফলেটগুলোতে কিম জং উনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ পিয়ংইয়ং।
দ্রুত ওই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম ও তার বোন কিম ইয়ো জং। গত সপ্তাহে লিফলেট ইস্যু নিয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কুৎসিত মন্তব্য করেন শাসক কিমের বোন ও পরামর্শদাতা কিম ইয়ো জং।
সেই সঙ্গেই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অবিলম্বে লিফলেট পাঠানো বন্ধ না হলে, উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত শহর কায়েসংয়ে দু’দেশের যোগাযোগ অফিস বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে সমালোচনায় সরব দক্ষিণ কোরিয়ার আন্দোলনকারীরা। আর তাদের সঙ্গেই গলা মিলিয়েছেন সিওলে আশ্রয় নেওয়া উত্তর কোরিয়ার দলত্যাগীরা।
গত বুধবারই দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম জং উন। এরপরই রবিবার সীমান্তে লাউড-স্পিকার বসিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও দুই কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় স্পিকার বসানো ছিল। তবে ২০১৮-তে দু’দেশের মধ্যে সামিটের আগে ওই স্পিকার প্রত্যাহার করেছিল উত্তর কোরিয়া। এই সময়