লাতিন আমেরিকায় অক্টোবরের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যু আকাশচুম্বী হয়ে দাঁড়াবে। গবেষকদের পূর্বাভাস, মহামারিতে ওই সময় এই অঞ্চলে মৃত্যু হবে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০ জনের। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যু হবে ব্রাজিল ও মেক্সিকোতে।
করোনা মহামারি সংক্রমণের হটস্পট এখন লাতিন আমেরিকা। প্রাণঘাতী ভাইরাসটি আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে। এই সপ্তাহে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১ লাখ এবং তিনগুণ হারে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ। এক মাস আগে এই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৯০ হাজার।
চরম দারিদ্র্য সীমার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রের কারণে অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না। এছাড়া অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা তো রয়েছেই। বিচ্ছিন্ন কিছু গ্রামে পৌঁছানো যাচ্ছে না চিকিৎসা সেবা। এসবই লাতিন আমেরিকায় করোনাযুদ্ধকে বাধাগ্রস্ত করছে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভেলুয়েশনের (আইএইচএমই) পূর্বাভাস, অক্টোবরের মধ্যে ব্রাজিলে মৃত্যু ১ লাখ ৬৬ হাজার ছাড়াবে এবং মেক্সিকোয় ৮৮ হাজারের বেশি। আর্জেন্টিনা, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা ও পেরুর মতো দেশগুলো প্রত্যেকে ১০ হাজারের বেশি প্রাণ হারাবে। প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে ও বেলিজসহ আরও ১৫টি দেশে মৃত্যু হবে ১ হাজারের কিছু কম।
আইএইচএমই পরিচালক ডা. ক্রিস্টোফার মারে বলেছেন, ‘লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে, আর কিছু দেশ সংক্রমণ ঠেকাতে সফল।’ মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের মতো স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করা হলে এই পূর্বাভাসের চেয়েও মৃত্যু বেশি হতে পারে সতর্ত করেছেন আইএইচএমই’র গবেষকরা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই খারাপ পরিস্থিতি চলতে থাকলে অক্টোবরের মধ্যে ব্রাজিলে মারা যাবেন ৩ লাখ ৪০ হাজার ৪৭৬ জন এবং মেক্সিকোতে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৩ জন। কোভিড-১৯ কে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়া এবং সংক্রমণ না কমতেই অর্থনীতি চালুর কারণে এই পরিস্থিতি বলে মনে করছেন গবেষকরা।
লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলে ১০ লাখ ২০ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫৩ হাজার ৮৩০ জন। আশার কথাও শুনিয়েছেন আইএইচএমএর গবেষকরা। ঘরের বাইরে মাস্ক পরলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসতে পারে বলছেন তারা।