1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশী অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার গৌরীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, ২৪ ঘন্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।। আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য সচিব রবিন শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক বিপ্লব ময়মনসিংহে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিমুর বিরুদ্ধে মামলা গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত সেই শ্যামল গ্রেফতার জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের গল্প শুনলেন ড. ইউনূস

‘ক্ষুধার চেয়ে করোনা ভালো’

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০
  • ৩৪৫ Time View

করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে বেসামাল হয়ে পড়েছে ভারত। তারপরও কর্মহীনরা পেটের টানে ফিরছেন কর্মস্থলে। উত্তর প্রদেশের ৩০ লাখের বেশি অভিবাসী শ্রমিকরা লকডাউনের মধ্যেই কাজে ফিরছেন। তাদের কাছে ক্ষুধায় মরার চেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ভালো। দেওরিয়া থেকে গোরক্ষপুর রেলওয়ে জংশনের বাস ধরার পথে সরকারি বাসস্ট্যান্ডে এমন কথাই বললেন শ্রমিকরা।

গোরক্ষপুর থেকে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বিশেষ ট্রেন চালু আছে। সেই ট্রেনে চড়তেই বাসের অপেক্ষায় দিবাকর প্রসাদ ও খুরশীদ আনসারি। মুম্বাইয়ে কাপড়ের বড় এক ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন খুরশীদ। তার কারখানা এখনও বন্ধ। এক মাস আগে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। বাসে ওঠার আগে খুরশীদ এনডিটিভিকে বললেন, ‘উত্তর প্রদেশে যদি কাজ থাকতো, আমি ফিরে যেতাম না। আমার কোম্পানি এখনও চালু হয়নি। কিন্তু আমি ফিরে যাচ্ছি, কোনও একটা কাজ খুঁজে নেবো। ক্ষুধার চেয়ে করোনা ভালো। করোনাভাইরাসে আমার সন্তানদের মৃত্যুর চেয়ে আমার মরা ভালো।’

কলকাতার একটি কোম্পানির টেকনিশিয়ান দিবাকর। হলি উদযাপনের জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন কিন্তু লকডাউনে আটকে পড়েন উত্তর প্রদেশে। তার কোম্পানি খুলেছে। পাঁচ সন্তান ও এক স্ত্রীসহ ৭ জনের পরিবারের খাওয়া-পড়ার ব্যবস্থা করতে ফিরে যাচ্ছেন। দিবাকর বলেছেন, ‘আমি ভীত কিন্তু এখানে থাকতেও আতঙ্ক ঘিরে ধরছে। আমি খাবো কী, আর আমার পরিবারকে খাওয়াবো কী?’

দিবাকর-খুরশীদরা কাজে ফিরে যাচ্ছেন। যদিও মনরেগা প্রকল্পের অধীনে উত্তর প্রদেশে ফেরা শ্রমিকদের কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পে প্রায় ৬০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে শনিবার রাজ্য সরকার দাবি করেছে। তারপরও দিল্লি, মুম্বাইয়ে ফিরছে লাখ লাখ শ্রমিক।

সরকারের এই প্রতিশ্রুতি দূরবর্তী অঞ্চলে পৌঁছায়নি বললেন এসি টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ আবিদ, ‘মুম্বাইয়ে অনেক টাকা। এখানে এত টাকা পাবো না। যদি কোনও প্রকল্প নেওয়াও হয়, সেগুলো আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। মনে হচ্ছে বেকার হয়ে আছি। এখানে কোনও কাজ নেই। যার কাছেই যান, শুনতে হবে কাজ নেই।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark