বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানাচ্ছে।
বিশ্বের নানা প্রান্তে এখনো ভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের শেষে চীনের উহানে ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে পৃথিবীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটিরও বেশি।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম যখন ‘অজানা’ একটি ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হয়, তখন মানুষ ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেনি যে সেই ভাইরাসটি পরের ছয় মাসের মধ্যে পুরো পৃথিবীকে ওলট-পালট করে দেবে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্রে ও ইউরোপে এবং আমেরিকা অঞ্চলে এর বিস্তার বেড়েই চলেছে।
ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকাতেও। যদিও এসব অঞ্চলে জুলাইয়ের শেষ নাগাদ সংক্রমণের চূড়ায় যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং মাত্র গত ছয় দিনেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে দশ লাখ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ এবং মারা গেছে এক লাখ পঁচিশ হাজার, যা এককভাবে অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে লকডাউন দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। আবার কয়েকটি দেশ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি দেখা যাচ্ছে।
অন্য দিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা এখন ব্রাজিলে। দেশটিতে ১৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে আর মারা গেছে ৫৭ হাজার। সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যেই রিও ডি জেনেরিও বলছে তারা ১০ই জুলাই থেকে সমর্থকদের জন্য ফু্টবল স্টেডিয়াম খুলে দেবে।
ওদিকে রোববার বেইজিংয়ের কাছে নতুন করে লকডাউন দিয়েছে চীন যার উদ্দেশ্য নতুন করে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো। আর পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি