‘মিল বাঁচাও, শ্রমিক বাঁচাও’, শ্রমিক না বাঁচালে, সরকারও বাঁচবে না’, দু’ মুঠো ভাত চাই, আমলাদের বিচার চাই’- এ ধরনের নানা শ্লোগানে খুলনার শিল্পাঞ্চল এখন উত্তাল।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ’র সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন খুলনাঞ্চলের ৯টি মিলের শ্রমিকরা।
এদিকে, সোমবার ঢাকায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী’র সঙ্গে পাটকল শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়নি। ফলে সহসাই রাজপথ ছাড়ছেন না পাটকল শ্রমিকরা। ১ জুলাই থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আমরণ অনশন শুরুর ঘোষণা রয়েছে তাদের।
এর আগে সোমবার খুলনার শিল্পাঞ্চলে পাটকল শ্রমিকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে নিজ নিজ মিল গেটে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তারা ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে নানা ধরণের শ্লোগান দিতে থাকেন।
একই দাবিতে আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুর ২টা থেকে শ্রমিক-কর্মচারিরা মিলগেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
এদিকে, চলমান সমস্যা নিরসনে দেশের ২৫টি পাটকলের সিবিএর নেতারা সোমবার ঢাকায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক চললেও তেমন কোনো সুরাহা হয়নি।
বৈঠকে যোগদেওয়া প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ’র সভাপতি সাহানা শারমিন জানান, কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর নিকট শ্রমিকদের মিলের চালু রখাসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবে, তেমন কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। এ কারণে দাবি আদায় না হওয়ায় তাদের কর্মসুচি অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রক্ষা সিবিএ ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক সরদার আ. হামিদ জানান, হঠাৎ করে মিল বন্ধ হলে এসব শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন। তখন পরিবার-পরিজন নিয়ে সকলকে পথে বসতে হবে। মিল বন্ধের এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, স্টার, প্লাটিনাম, ইস্টার্ন, দৌলতপুর, খালিশপুর, জেজেআই, আলিম ও কার্পেটিং জুট মিলে প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।