গেল বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী সনাক্ত হয়। মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে বিশ্বের ২১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। আক্রান্ত করেছে ১ কোটি ৪ লাখ ১ হাজার ৬৯ জনকে। প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯৭ জনের।
এতো এতো আক্রান্ত, এতো এতো মৃত্যুর পরও কোনো স্বস্তির খবর নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থা জানিয়েছে করোনাভাইরাস বিদায় নেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এখনো এটা বাড়ছেই। হু’র মতে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব করোনাকে আরো ছড়াতে দিচ্ছে। যেহেতু এখনো করোনার কোনো ওষুধ ও টিকা তৈরি করা যায়নি তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে হু’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়াসুস বলেছেন, ‘ভাইরাসটি ছড়ানোর এখনো অনেক জায়গা রয়েছে। আমরা সবাই চাই করোনা বিদায় নিক। আমরা সবাই আমাদের জীবন বাঁচাতে চাই। তবে নিষ্ঠুর সত্য হল করোনা এখনো শেষ হওয়ার ধারে-কাছেও নেই। যদিও কিছু দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। কিন্তু এখনো এই ভাইরাস বাড়ছেই। ছয় মাস আগে আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারিনি এই ভাইরাসটি আমাদের বিশ্ব, আমাদের জীবন ও অর্থনীতিকে এমন বিপাকের মুখে ঠেলে দিবে। এই মহামারি মনুষত্ববোধের সবচেয়ে ভালো দিক ও সবচেয়ে খারাপ দিক দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।’
করোনাভাইরাস প্রথম সনাক্ত হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো কার্যকরী ওষুধ কিংবা টিকা আবিস্কার করতে পারেনি বিশ্ব। দীর্ঘমেয়াদে করোনাভাইরাসকে রুখতে হলে টিকার কোনো বিকল্প নেই।
যেহেতু এখনো কোনো ওষুধ কিংবা টিকা তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব, তাই করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
টেড্রোস আধানম বলেছেন, ‘আমাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, হাত ধুঁতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখ ঢাকতে হবে, অসুস্থবোধ করলে বাসায় থাকতে হবে, যেখানে প্রয়োজন সেখানে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এগুলোই এখন আমাদের কাছে করোনা রোখার সহজলভ্য উপায়।’