করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে আগের মতো জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের যাবতীয় প্রস্তুতিসহ রেড জোন এলাকাগুলোর তালিকা হাতে পেলেই ওইসব এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৩০ জুন (মঙ্গলবার) শেষ হচ্ছে সরকারের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রেড জোন ছাড়া সারাদেশে আগের শর্তসাপেক্ষে জনসাধারণের সীমিত চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। তবে তা আগামী ১৫ কিংবা ৩০ দিনের জন্য বাড়ানো হতে পারে। যেকোনো সময় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মঙ্গলবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, অবশ্যই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ছে। তবে কতদিন সেটি এখনই বলতে পারছি না। প্রজ্ঞাপন এলে বলতে পারবো। যেকোনো সময় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির ইঙ্গিতও দেন তিনি।
এদিকে প্রায় প্রতিদিন ঢাকা সিটির দুই করপোরেশন এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও একমাত্র পূর্ব রাজাবাজার ও ওয়ারী ছাড়া আর কোনো এলাকাকে এখনও রেড জোন ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরও সিটি এলাকায় রেড জোন ঘোষণায় দেরি হচ্ছে কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে জনমনে। এরইমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে।
ঢাকা সিটিতে কবে রেড জোন ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, আসলে এটা অনেক প্রক্রিয়ার ব্যাপার। ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সংস্থা থেকে সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করে রেড জোন এলাকার তালিকা দেবে। আমরা সেসব এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করবো।
ঢাকা সিটির কয়টি এলাকার তালিকা এসেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনই তা বলতে পারছি না। তালিকা হাতে পেলেই সিটির ওই এলাকা রেড জোন হিসাবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জানান, জনসাধারণের চলাচলের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে কিনা এ বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দেখভাল করছে, তারাই এবিষয়ে বলতে পারবে।
তাছাড়া ডিজি হেলথ থেকে তালিকা আসার পর রেড জোন এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় রেড জোন ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলেও বেশি সংক্রমিত রাজধানী ঢাকায় কেবল পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ব রাজাবাজারকে রেড জোন হিসাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৪ জুলাই থেকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায়ও রেড জোন শুরু হচ্ছে। কিন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি থাকলেও রাজধানীর অনেক এলাকা এখনও রেড জোন ঘোষণা করা হয়নি।