কোভিড বিশ্বের ২১৩টি দেশে থাবা বসালেও উত্তর কোরিয়ায় আঁচড়ও কাটতে পারেনি। করোনায় কেউ আক্রান্ত হননি দাবি দেশটির, যদিও বিশ্লেষকদের তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আপাতদৃষ্টিতে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসকে ঠেকিয়ে দেশের ‘উজ্জ্বল সাফল্যের’ প্রশংসা করেছেন শীর্ষ নেতা কিম জং উন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রাজনৈতিক এক বৈঠক শেষে উন বলেছেন, দেশ ‘মারাত্মক ভাইরাসটির অনধিকার প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছে এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতি ধরে রেখেছে।’ ৬ মাস আগে বিশ্বকে যখন করোনা গ্রাস করছিল, তখনই উত্তর কোরিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং হাজার হাজার লোককে আইসোলেশনে থাকতে বাধ্য করে।
ছয় মাস আগে জাতীয় মহামারিরোধী কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য বৃহস্পতিবার তুলে ধরেন উন। তিনি বলেন, ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে সাফল্য ‘অর্জন হয়েছে পার্টি সেন্ট্রাল কমিটির দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।’
প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখনও ভাইরাসের উপস্থিতি থাকায় উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা ‘লড়াই শিথিল না করে সর্বোচ্চ সতর্কতা’ বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। কেসিএনএ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘তিনি বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন যে মহামারি প্রতিরোধী পদক্ষেপে একটুও শিথিলতা আনলে তা হতে পারে অকল্পনীয় ও অপূরণীয় সংকটের কারণ।’
জানুয়ারির শেষ দিকে উত্তর কোরিয়া দ্রুত ভাইরাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি বিদেশিদের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়। দেশের নাগরিকদের আইসোলেশনে রাখার পাশাপাশি স্কুল বন্ধ করে দেয়। এখন স্কুল খুললেও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ। এছাড়া জনসমাগম হয় এমন জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ১ জুলাই প্রতিবেদনে জানায় রয়টার্স।
জাতিসংঘের সংস্থা আরও জানায়, দেশে মাত্র ৯২২ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে এবং সবার নেগেটিভ এসেছে। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত হলেও উত্তর কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত একজনও আক্রান্ত না হওয়া বেশ বিস্ময়কর। অবশ্য দেশটি তাদের কোনও খবরই বাইরে প্রকাশ করে না।