করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমাতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং এইচআইভির সম্মিলিত ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শনিবার সংস্থাটি এ ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন সময় এ ঘোষণা দিলো যখন এক দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে দুই লাখ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা হিসেবে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি।
শুক্রবার সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেব্রিয়াসাস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিলেন, করোনার চিকিৎসায় রেমিডিসিভির, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও লোপিনাভির/রিটোনাভির এবং লোপিনাভির/রিটোনাভিরের সমন্বিত ট্রায়ালে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রোগী অংশ নিয়েছেন। এই ট্রায়ালের ফলাফল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
শনিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, ‘অন্তর্বর্তী এই ট্রায়ালগুলোর ফলাফলে দেখা গেছে, যত্মের মানের সঙ্গে তুলনা করলে হাসপাতালে থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পারেনি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভির/রিটোনাভির। সম্মিলিত ট্রায়াল গবেষকরা দ্রুত ট্রায়াল স্থগিত কার্যকর করবেন।’
সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ট্রায়াল বাতিলের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক স্টিয়ারিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছাড়া বা করোনা প্রতিরোধের জন্য এই ওষুধগুলোর ট্রায়াল যেসব গবেষণা কার্যক্রমের আওতায় চালানো হচ্ছে তা স্থগিত বা বাতিল করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।