1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশী অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার গৌরীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, ২৪ ঘন্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।। আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য সচিব রবিন শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক বিপ্লব ময়মনসিংহে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিমুর বিরুদ্ধে মামলা গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত সেই শ্যামল গ্রেফতার জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের গল্প শুনলেন ড. ইউনূস

৪৩০০ পুকুরে মাছ চাষের উদ্যোগ, খরচ পাবেন চাষি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০
  • ২৪২ Time View

৬১টি জেলার ৪৬৪টি উপজেলায় ৪ হাজার ৩০০ ইউনিয়নের একটি করে পুকুর বা জলাশয়ে মৎস্য চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি প্যাকেজ সম্প্রসারণ করে মাছের উৎপাদন ব্যাপকহারে বাড়ানো হবে।

প্রথমে ৩ হাজার পুকুর ও জলাশয়ে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে নতুন করে পুকুর ও জলাশয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩০০টি। এসব পুকুরে নতুন করে পাবদা-চিংড়ি ও টেংরা চাষ করা হবে।

প্রতি ইউনিয়নে একটি করে জলাশয় নির্বাচন করবেন চেয়ারম্যানের অধীনে গঠিত কমিটি। পুকুর বা জলশয়ের মালিককে ৩৫ হাজার টাকার উপকরণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। উপকরণের মধ্যে থাকবে ১০ হাজার টাকার মাছের পোনা, ১০ হাজার টাকার মাছের খাবারসহ বাকি টাকা পুকুর প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা হবে। ৩৫ হাজার টাকা প্রকল্প থেকে দেওয়া হবে।

ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলমান প্রকল্পের আওতায় মৎস্য চাষের পরিধি বাড়ছে। ফলে প্রকল্পের সময় ও মেয়াদ বাড়ছে বলে জানায় মৎস্য অধিদপ্তর।

প্রকল্প এলাকায় মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম মৎস্য চাষিদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। প্রকল্প শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১১৪ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে ১২ হাজার ৯৪৯টি বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে বেজলাইন থেকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ হাজার ৮২১ দশমিক ৭৬ মেট্রিক টন।

প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা চলমান প্রকল্পের ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। সারাদেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। প্রকল্পের সময় ও আওতা বাড়িয়ে নতুন উদ্যাগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা জানি চিংড়ি, পাবদা ও টেংরা বিশেষ অঞ্চলের মাছ। কিন্তু প্রযুক্তি সম্প্রসারণের ফলে এই মাছ সারা দেশে ছড়িয়ে দেব। এই জন্যই মূলত প্রকল্পের আওতা ও মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি মার্চ ২০১৫ থেকে জুন ২০২০ মেয়াদে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত। মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৯৫ কোটি ৯৭ লাখ। দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যয় বাড়ছে ১২৫ কোটি ৩৯ লাখ বা ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় ৬১টি জেলার ৩৫৫টি উপজেলার ৩ হাজার ইউনিয়নে কার্যক্রম চলমান। তবে এখনও ১০৯ উপজেলার ৮৭৩ ইউনিয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম আওতা থেকে বঞ্চিত। এসব এলাকার মৎস্য চাষিরা নতুন ও আধুনিক মৎস্যচাষ প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে প্রকল্পের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার জলাশয়ে মৎস্য নার্সারী ফলাফল প্রদর্শনী, তিন হাজার জলাশয়ে কার্প মিশ্রচাষ ফলাফল প্রদর্শনী, তিন হাজার পুকুরে মনোসেক্স তেলাপিয়া ফলাফল প্রদর্শনী, দেড় হাজার পুকুরে পাঙ্গাস চাষ ফলাফল প্রদর্শনী, এক হাজার পুকুরে গলদা-বাগদা-কার্প মিশ্রচাষ ফলাফল প্রদর্শনী করা হবে।

এছাড়া ৫০০ পুকুরে কৈ-শিং মাগুর চাষ ফলাফল প্রদর্শনী, এক হাজার ধানক্ষেতে মাছচাষ ফলাফল প্রদর্শনী, ৬৫০টি কার্প মিশ্রচাষ পাঙ্গাস তেলাপিয়া চাষ, ৩০০টি খাঁচায় মাছচাষ প্রদর্শনী করা হবে।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বাংলাদেশে গলদা-কার্প মিশ্র চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা রয়েছে। গলদা চিংড়ি খুবই মুল্যবান ও জনপ্রিয় আমিষ জাতীয় খাদ্য। দেশে বিদেশে এর যথেষ্ট কদর ও বাজার মূল্য আছে। তাই এই মূল্যবান ফসল চাষির দ্রুত আর্থিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।

অতীতে দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সংগৃহীত প্রাকৃতিক পোনা দ্বারা চিংড়ি চাষ করা হতো। বর্তমানে প্রাকৃতিক উৎস ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি হ্যাচারির মাধ্যমে চিংড়ি পোনা উৎপাদন করা হচ্ছে। কাজেই ফলাফল প্রদর্শনীর মাধ্যমে চাষিদের মাঝে চিংড়ি চাষ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার এখনই সময়। গলদা চাষে সম্ভাব্য সুবিধাজনক স্থানে অর্থাৎ যেখানে পানি পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক ও হ্যাচারি উৎপাদিত পোনা প্রাপ্তির সুবিধা আছে সেসব এলাকাতে অত্র প্রকল্প থেকে গলদা-কার্প মিশ্র চাষ প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark