বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। এই সংস্থার সদস্যপদ হিসেবে নাম প্রত্যাহারের কথা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়েছে দেশটি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে শুরু থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমালোচনা করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই সদস্য হিসেবে সংস্থাটির সঙ্গে আর থাকছে না যুক্তরাষ্ট্র, এমনটাই মঙ্গলবার জানান এক সিনেটর।
পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজ টুইটারে লিখেছেন, ‘মহামারির মাঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম মার্কিন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে কংগ্রেস।’
করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের পক্ষপাতিত্ব করায় আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) অর্থ সাহায্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। আরও এক ধাপ এগিয়ে মে মাসের শেষ দিকে তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় তারা। জাতিসংঘের সংস্থাকে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাতে সাড়া না পাওয়ায় এ পদক্ষেপের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মের শুরুতে চীনের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে ডব্লিউএইচওকে একাধিক অভ্যন্তরীণ সংস্কার আনার আল্টিমেটাম দেন ট্রাম্প। কিন্তু সংস্থাটি তা আমলে নেয়নি বলেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তার দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভ্যন্তরীণ সংস্কারে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে এবং চীনা নির্ভরতা কাটাতে পারেনি। এ কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হলো।
প্রতিষ্ঠানকে এতদিন ধরে দেওয়া বার্ষিক ৪৫ কোটি ডলার এখন থেকে অন্য সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি স্বাস্থ্য প্রকল্পে ব্যয় করা হবে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই ঘোষণার এক মাসেরও বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করে নিলো আমেরিকা।