মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা কাশেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক প্রতিবেদক তার প্রতিবেদনে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘বেআইনি’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটি জাতিসংঘ ঘোষণা লঙ্ঘন।
ওইদিন ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার জেনারেল সোলেইমানিকে বহনকারী গাড়ির বহরে ড্রোন হামলা চালায় ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনী। হামলায় তিনি ও ইরাকের কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিস নিহত হন।
ট্রাম্প ওই সময় বলেছিলেন, ‘সোলেইমানি বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং আরও আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদক অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, ‘মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানতে চাওয়ায় জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যা করার যে অজুহাত ওয়াশিংটন দাঁড় করিয়েছিল তার প্রমাণ মেলেনি। আমেরিকার এই বেআইনি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এবং সব জেনেশুনেও আন্তর্জাতিক সমাজ নীরব।’
আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এই প্রতিবেদক তার প্রতিবেদন নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করবেন, যেন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ক্যালামার্ড তার প্রতিবেদনে আরও বলেছেন, আত্মরক্ষার অজুহাত দেখিয়ে তৃতীয় কোনও দেশে আরেকটি দেশের সেনা কমান্ডারের ওপর এই প্রথম এধরনের হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এই প্রতিবেদকের উদ্ধৃতি দিয়ে আল জাজিরা লিখেছে, ‘জেনারেল সোলেইমানি ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের সামরিক কৌশল ও পদক্ষেপের নীতি নির্ধারণী ভূমিকা পালন করতেন। কিন্তু আমেরিকার দাবির বিপরীতে তিনি কোনও গোষ্ঠীর জীবনের জন্য হুমকি ছিলেন না। তাই আমেরিকা তাকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।