কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বিজিবির দাবি, বন্দুকযুদ্ধে নিহত তিন রোহিঙ্গা মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ভোরে উখিয়ার তুলাতলী সীমান্তে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
কক্সবাজার বিজিবির-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আবু হায়দার আজাদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত জুলুর মল্লুকের ছেলে নুর আলম (৪৫), উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প-১ জি/২৯ ব্লকের মো. গোড়া মিয়া ছেলে মো. হামিদ ও উখিয়ার কুতুংপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প-২ ডি/৪ ব্লকের মো. সৈয়দ হোসেনের ছেলে নাজির হোসেন (২৫)।
আবু হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, ‘মাদক কারবারীরা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ সদস্যের একটি বিজিবির টহল দল তুলাতলী জলিলের গোদা ব্রিজের কাছে অবস্থান করে। টহল দলে আমি নেতৃত্ব দেই। ভোরে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করে। বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদেরকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩ লাখ ইয়াবা, দেশিয় দুইটি পাইপগান ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় দুইজন বিজিবি সদস্য আহত হন। তাদেরকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি হতে ৯ জুলাই পর্যন্ত বিজিবির-৩৪ ব্যাটালিয়ন অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ পিস ইয়াবাসহ ৮৯ জনকে আটক করে। এছাড়া, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নয় মাদক কারবারী।