করোনার প্রভাব পড়েছে হবিগঞ্জের কামারশালা গুলোতেও। সামনে কোরবানি ঈদ। দা, বটি, ছুরি-চাকু তৈরিতে এ সময়টাতে তাদের ব্যস্ত সময় পার করার কথা।এবার সে রমরমা অবস্থাটি নেই।
দা, বটি, ছুরি-চাকুর চাহিদা এবার আগের মতো তেমন না। করোনা পরিস্থিতিতে গরু ও ছাগল কেনা নিয়েই যেখানে
সাড়া নেই, সেখানে পশু জবাইর সরঞ্জামাদি দিয়ে কি হবে। কামার পাড়ায় দা-ছুরি তৈরি করে বাড়তি আয়ের উচ্ছাসও চোখে পড়ছে না এবার।হতাশায় সময় কাটছে কামারদের।
জেলার বাহুবল উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজারে কথা হয় কামার সুরুজের সাথে।তিনি বললেন, ঈদের এক মাস পূর্ব থেকে ছুরি-চাকু বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু তৈরি করে রাখা ছুরি-চাকু বিক্রি হচ্ছে না তেমন একটা। তারপরও আমরা বসে নেই। বসে থাকলে তো চলবে না।
কামার হেমঙ্গ দত্ত বললেন, পুরো বছরের মূল রোজগার হয় এই কোরবানি ঈদে।কিন্তু এবার ছুরি-চাকু বিক্রি নেই বললেই চলে। তবু বিক্রির আশায় ঘুম নষ্ট করে জিনিসপত্র তৈরি করে রাখছি।
তিনি বলেন, ভালমানের লোহা পাওয়া কঠিন। লোহার দর বেড়েছে। সেই তুলনায় জিনিস বিক্রি করা কঠিন হচ্ছে। যাই হোক, আশা ছাড়ছি না। ঈদের এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে বিক্রি শুরু হতে পারে।
কামার গোপাল দত্ত বলেন- ঈদ এলে আমাদের মনে আনন্দ দেখা দেয়। এবার সে আনন্দ নেই। করোনায় ম্লান করে দিয়েছে। ছুরি-চাকু বিক্রি নেই। তারপরও বর্তমানে ঈদকে সামনে রেখে বটি ও ছুরি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছি। কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় হতাশায় আছি।
এসব নিয়ে সমাজসেবক আব্বাস উদ্দিন তালুকদার বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। কারণ আমার না হয় টাকা আছে। গরু কিনলাম। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে অনেকেই বেকায়দায় রয়েছে। তারা কোরবানি দিতে পারবেন না। করোনা ঈদের আনন্দ ম্লান করেছে।
এমন কথাই বললেন আরো কয়েকজন।করোনা পরিস্থিতির দিকে তারা তাকিয়ে আছেন। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে পশু কেনাবেচা।