কোরবানীর চামড়া নিয়ে কোন চক্রান্ত মেনে নেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া।
রোববার এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, কোরবানি পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে গত বছর লক্ষাধিক পিস চামড়া ধ্বংস করা হয়েছিল। যার বেশির ভাগ মাটিচাপা কিংবা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। চামড়ার মূল্য না থাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে দেশের চামড়ার বাজার। দামে ধস নামায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। পাশাপাশি এই টাকা থেকে বঞ্চিত হয় গরিব ও এতিম জনগোষ্ঠী। করোনার কারণে চামড়া নিএেবারো সেই সঙ্কট আরো বাড়ার শঙ্কা করছে সচেতন জনতা।
নেতৃদ্বয় বলেন, লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোতে চরম অর্থ সঙ্কট চলছে। এ কারণে এবারও ট্যানারী মালিকরা ব্যাংক থেকে কোন টাকা পাবে কিনা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চামড়া শিল্প ধ্বংস হলে গরীব, দুঃখী ও এতিমদের হক নষ্ট হয়। সরকার-এর ভেতরের একটি মহল সিন্ডিকেট করে কওমী মাদরাসাকে ধ্বংস করতে এবং চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে নিজেরা ফায়দা লুটতে চায়।
তারা আরো বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা যদি যথাসময়ে চামড়া কিনতে অনাগ্রহী হয় তাহলে বাজারে অতিরিক্ত চামড়া সরকারিভাবে কিনে দুই তিন মাস গুদামজাত করা যেতে পারে। এ ছাড়াও সারা দেশে মসজিদের ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এতিমখানা ও মাদরাসার প্রধানদের চামড়া নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও চামড়া নিয়ে শঙ্কা কিছুটা হলে কমবে। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বেচাকেনা হয় কি না তা মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এবং সরকারের দেয়া ঋণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে চামড়া শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব হবে। বিজ্ঞপ্তি।