এক ঘণ্টাও দুর্নীতির সাথে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজির যারা অপরাধ করেছেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদরের ১শ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতালসহ করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিদিনই কোনো না কোনো উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করছি। স্বাস্থ্য আধিদপ্তরের ডিজির কাছে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। রোববারও একজন প্রফেসরকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজির সঙ্গে যারা অপরাধ করেছেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোনো জায়গায় অনিয়ম দুর্নীতির কোনো তথ্য প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না আবারো হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
স্বাস্থ্যসচিব আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স ঘোষণা দিলেও তথ্য-উপাত্ত এবং উপযুক্ত প্রমাণ পেতে অনেক সময় কিছুটা বিলম্ব হয়। তবে দেশের সরকারি বেসরকারি যে কোনো হাসপাতালে কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়াসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন তৎপর রয়েছে। আমরা চাই সত্য বেরিয়ে আসুক এবং আমরা সত্যের সাথেই থাকতে চাই।
ব্রিফিং শেষে স্বাস্থ্যসচিব সদর জেনারেল হাসপাতালে জরুরি সভায় অংশ নেন। পরে নগরীর খানপুরে সরকারি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ৩শ’ শয্যা হাসপাতাল ও সিদ্ধিরগঞ্জে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাজেদা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তানজিয়া সালমা, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক ডা. গৌতম রায়, জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান বিন আলী প্রমুখ।