রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৩ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান টিম প্রধান উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের সই করা তলবি চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান বরাবর পাঠানো হয়েছে। দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বরাবর পাঠানো চিঠিতে রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের উত্তরা ও মিরপুর শাখার ইস্যুকৃত লাইসেন্স ও নবায়ন সংক্রান্ত নথির সত্যায়িত কপি চাওয়া হয়েছে। তলব করা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার চুক্তিপত্র, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান ও বিভিন্ন বিল পরিশোধের সত্যায়িত কপি এবং অধিদপ্তরের কাছে পেশ করার বিলের কপিসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ এর প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান বরাবর পাঠানো চিঠিতে রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের নামে-বেনামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব, সাহেদের ব্যক্তিগত হিসাব ও তার পরিবারের সদস্যের নামে থাকা ব্যাংক ঋণ বিবরণসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
উভয় তলবি চিঠিতে দ্রুত নথিপত্র দুদকে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল সকালে সাহেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তার বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে প্রতারণা করে, আয়কর ফাঁকি দিয়ে, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপরই দুদকের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।
করোনা পরীক্ষা না করে সার্টিফিকেট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করে র্যাব। মামলায় হাসপাতালের মালিক সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।