অনুমোদিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপন ও বিলম্বিত এবং সমন্বয়হীনতার কারণে প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সংশোধিত প্রকল্পের অগ্রগতির তথ্য দেখে প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেছেন, আগের প্রকল্পের অনুমোদিত মূল কাজ করেন। অন্যকাজগুলো সরিয়ে রাখেন। মঙ্গলবার প্রকল্পগুলো অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। এছাড়া উপকূলে, চরাঞ্চলে বাঁধ দেয়ার ক্ষেত্রে সুদূর প্রসারী চিন্তার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার (একনেক) চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে একনেক সভায় যুক্ত হন। গণভবণে অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রেসব্রিফিংয়ে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাসমূহ সাংবাদিকদের জানান।
মন্ত্রী জানান, সভায় এক হাজার ১৩৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ের ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের অর্থ এক হাজার ২৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা আসবে জিওবি থেকে এবং ১০৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা আসবে প্রকল্প সাহায্য থেকে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, নারায়ণগঞ্জেরস প্রকল্পটিতে মূল কাজের বাইরে বাংলো বা টুরিস্টদের জন্য হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মূল কাজটাই করুন। অর্থাৎ রাস্তা প্রসস্ত করুন, ঘাটলা নির্মাণ করুন। চায়ের দোকান বা অন্য দোকান বসানোর প্রয়োজন হলে বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ীরাই সেটা করবেন। এছাড়া খুলনা শিপইয়ার্ডের সড়ক প্রস্তুত করা প্রকল্প নিয়েও ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পটি রিভিউ করতে নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনকে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনেক সময় প্রকল্প চলাকালীন ‘আইডিয়াওয়ালা’রা এসে নতুন নতুন আইডিয়া যোগ করেন প্রকল্পে। এটা আর করা যাবে না।