মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত সন্দেহে ২১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)। গত ১২ জুলাই এই ২১ ব্যক্তির নামে থাকা তথ্য চেয়ে দেশের সব ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে সন্দেহভাজন এসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য তলবের পাশাপাশি ৩০ দিনের জন্য তাদের অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।
বিএফআইইউ-সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহজনক লেনদেন, হিসাবের তথ্যে গরমিল, প্রতারণা ও অর্থপাচারের সঙ্গে প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে এই ২১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোয় পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামে কোনো হিসাব থাকলে তার কাগজপত্র, হিসাব খোলার ফরমসহ বিস্তারিত বিএফআইউতে পাঠাতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্দেহজনক ব্যক্তিরা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। এমনকি ওই টাকা ব্যবহারও করতে পারবেন না। এছাড়া, এসব অ্যাকাউন্টে কোনো আর্থিক সুবিধাও জমা করা যাবে না।
সন্দেহভাজন ২১ ব্যক্তি নাম
বিএফআইইউ’র চিঠিতে যে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন, ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানার ব্রাহ্মণকান্দার সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত ওরফে বরকত মন্ডল ওরফে চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, তার ভাই মো. ইমতিয়াজ হোসেন রুবেল, সাজ্জাদ হোসেন বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, মো. ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরোজ পুনম ও ফরিদপুরের শিবরামপুরের বাসিন্দা রেজাউল করিম পান্না।
দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালী থানার সুইহার কালিতলার বাসিন্দা আব্দুস সাদেক মুকুল, মো. শহীদুল আলম, শাহিন আক্তার, আদুরী বেগম, মো. রাজ্জাক, মো. নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. ফাহিম আমিন, মো. মাজহারুল ইসলাম ও মাইসুম মনিরা।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার শাহপরীর দ্বীপের ডাংগার পাড়ার ফিরোজ আহমেদ, বাজারপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাঈল, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ৯নং কুতুবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়াচর বাসিন্দা মাসুম ওরফে কাইল্লা মাসুম, মাদারীপুরের সদর থানার টেরবাগড়ী বেপারী পাড়ার বাসিন্দা মো. মামুন বেপারী, ড. মো. সিব্বির আহমেদ ওসমানী ও মো. শহিদুজ্জামান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, ‘সন্দেহজনক লেনদেন খতিয়ে দেখা বিএফআইইউর রুটিনওয়ার্ক। এই ২১ জনের লেনদেন সন্দেহজনক মনে হয়েছে। একাধিক শাখা থেকেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।’ সে আলোকেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।