বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, `রপ্তানি বাড়াতে বিরাট কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। আর পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। এখন আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং দক্ষতা এবং প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানোর পালা।’
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন সম্পর্কিত একটি প্রকল্পের অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের জন্য অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জমি লিজের দুটি পৃথক চুক্তি হয়। অনলাইনের মাধ্যমে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি বলেন, ‘এখন উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার সময়। মানসম্মত পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং শ্রমিকের দক্ষতা উন্নয়ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এভাবেই আমরা কর্মসংস্থান ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো।’
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে ধাক্কা খেলেও অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। তাই জমি লিজের এই চুক্তিটি কেবল একটি চুক্তি হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এ চুক্তি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ধাপ।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও উৎপাদনমুখী কাজে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে তিনটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কেন্দ্র (টিসি) এবং একটি প্রযুক্তিগত নকশা ও প্রযুক্তি কেন্দ্র (ডিটিসি) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার।
বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম, বেজার নির্বাহী সদস্য হারুনুর রশিদ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্তি সচিব ওবায়দুল আজম বেজা ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মনোনীতদের সঙ্গে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বেজা একটি প্রযুক্তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ একর ও বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আরেকটি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৪ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে।