গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অধিকাংশ স্থানেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েতে হচ্ছে নগরবাসীকে। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অফিসগামীদের।
বুধবার (২২ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীতে মুষলধারে পরে যাচ্ছে বৃষ্টি। আর তাই রাজধানীর জিগাতলা, ধানমন্ডি ২৭, ১৫ নম্বর স্টাফ কোয়ার্টার, শঙ্কর, শান্তিনগর, বাড্ডা, মিরপুর, কাওরান বাজার, মতিঝিলসহ বেশকিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। আর এ সব এলাকায় অফিসগামীদের পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে। এ সব এলাকায় কোথাও হাঁটু সমান তো কোথাও কোমর সমান পানিতে একাকার অবস্থা।
শুধু রাজপথ নয়, সড়ক,অলিগলি পেরিয়ে পানি ঢুকে যাচ্ছে পাকাবাড়ি আর দালানকোঠায়ও।
ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত এস এম ইমরান বলেন, বৃষ্টির কারণে আমার বাসার নিচ তলায় পানিতে ভেসে গেছে। গতবছর বৃষ্টির সময়ও পানি উঠেছিল কিন্তু দুই তিন ঘণ্টা পর নেমে গেছে। অথচ কয়েক মাস আগে রাস্তার কাজ করল, ড্রেন বড় করলো। এবার ভাবলাম পানি আর উঠবে না, তাই বাসাও পরিবর্তন করিনি। কিন্তু এবার আরও বেশি পানি উঠল। আর সেই পানি সরছেও না।
তিনি বলেন, সকালে এ অবস্থা দেখে বের হলাম অফিসে যাওয়ার জন্য কিন্তু রাস্তায় বের হয়ে দেখি আরও খারাপ অবস্থা। রাস্তায় হাঁটুর ওপরে পানি জমে গেছে। এভাবে পানি সামলাতে সামলাতে অফিসে যেতে পারছি না।
ওপর এক দোকানদার মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, গতকাল সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি দোকানের মধ্যে পানি উঠে গেছে। সেই পানি সরাতে প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। আজকেও এসে ঠিক তেমন অবস্থাই দেখছি। পানি আজকেও দোকানে জমেছে। এভাবে হয়ে থাকলে আমার দোকানের মালামাল সব নষ্ট হয়ে যাবে। ব্যবসার খুব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
ওয়াসা পরিচালক (কারিগরি) শহীদ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, মাঝারি বা ভারী বৃষ্টিপাত অনেক সময় ধরে হওয়ার কারণে পানি সরে যেতে সময় লাগছে। পানিকে বিভিন্ন ড্রেনের মধ্যে দিয়ে খাল-নদীতে যেতে হবে। কিন্তু সেই খাল অনেক জায়গায় বাধাগ্রস্ত, তাই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আশা করি এ সমস্যা অচিরেই সমাধান করতে পারবো।