নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার উচিতপুর হাওড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জনই ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরাঞ্চল সিরতা ইউনিয়নের ভবানিপুর কোনাপাড়া, খরিচা ও গোবিন্দপু গ্রামের এক গ্রামের বাসিন্দা। চরাঞ্চলের মানুষ এমন মৃত্যুর মিছিল কখনো দেখেননি। মর্মান্তিক এই মৃত্যুতে শোকাহত চরাঞ্চলবাসী। এমন আবেগে লাশগুলো একসাথে দাফনের জন্য ৩০ শতক জমি দান করেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ট্রলির ডুবির ঘটনায় তার ছেলেও প্রাণ হারান।
এব্যাপারে সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক আলী মর্মান্তিক ট্রলার ডুবির ঘটনায় লাশগুলো একসাথে দাফনের জন্য নতুন গোরস্থান করার লক্ষ্যে জমিদানের ঘোষনা দেন এবং সেই জমিতে ১৩টি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই বাউন্ডারী দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা জমি দান করে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এলাকাবাসীর কাছে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচা কোনাপাড়া ‘মাদরাসায়ে মারকাযুস সুন্নাহ’র মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯ জন শিক্ষক ও দু’জন শিক্ষার্থীসহ ৪৮ জন নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার উচিতপুরে জামিয়া আজিজিয়া মঈনউল ইসলাম মাদ্রাসার আমন্ত্রণে বেড়াতে যান। সেখানে বিনোদন পেতে হাওরের উদ্দেশ্যে ট্রলার ভ্রমনে গিয়ে প্রচন্ড বাতাস ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৭ জন। সাঁতরে পাড়ে ফিরেন ৩০ জন। বৃহস্পতিবার সকালে নিখোজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ###