করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে ১৫৯ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ৭ সদস্যর কমিটি করা হয়েছে। তারা নীতিমালার ভিত্তিতে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে এমন ১৫৯ জন বন্দির তালিকা তৈরি করে ডিআইজি প্রিজন রাজশাহী অফিসে পাঠান। পরে তা কারা মহাপরিদর্শকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি মিললেই এই সব বন্দি মুক্তি পাবেন। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কারা সূত্র জানায়, কারা অধিদপ্তর থেকে বগুড়া জেলা কারাগারে গত ১ ও ২ এপ্রিল পৃথক দুইটি চিঠি পাঠানো হয়। পাঠানো দুটি চিঠিতে বলা হয়েছে, যাদের অল্প সাজা অর্থাৎ এক বছরের কম বাকি আছে, লঘু অপরাধ, যারা অচল, অক্ষম বা বৃদ্ধ এরকম বন্দিদের তালিকা তৈরী করে দ্রুত পাঠাতে হবে।
সুত্র আরো জানায়, বগুড়া জেলা কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৭২০ জন। সেখানে গত শুক্রবার পর্যন্ত বন্দি রয়েছে ২ হাজার ১৩৩ জন।
বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার শরিফুল ইসলাম জানান, ১৩১ বছর আগে নির্মিত কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দি (হাজতি ও কয়েদি) রয়েছেন প্রায় তিনগুণ। কিন্তু জনবল ও অবকাঠামো সেই আগের মতোই আছে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বেশি বন্দি থাকায় করোনা ঝুঁকি এড়াতে সরকার কিছু বন্দি মুক্তি দেবার চিন্তা করেছে।
এ ধারাবাহিকতায় বগুড়া জেলা কারাগারে ৬জন নারীসহ ১৫৯ জন বন্দির একটি তালিকা তৈরী করে নির্দেশনা মতো কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পেলে উল্লেখিত সংখ্যক বন্দির মুক্তি মিলবে। সরকারের এ খবরে অনেকের মাঝে কারামুক্তির আশা জেগেছে।