১৫ জুলাই ২০২৩, কাগজ প্রতিবেদক, ভালুকা
ময়মনসিংহের ভালুকায় শ্রমিকদলের নতুন কমিটি দেয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার প্রতিপক্ষের হামলায় ২জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, শ্রমিক নেতা রবিউল আলম(৩৫) ও আব্দুল মোতালেব(২৫)।
সূত্রে জানা যায়, গত ১০জুলাই ভালুকা উপজেলা ও পৌর শ্রমিকদলের আংশিক কমিটি দেয়। সেই কমিটিতে পদ বঞ্চিত নেতা ক্ষোব্ধ হয়ে ইতোমধ্যে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল ও জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম মোহনের কুশপুত্তলিকাদাহ করেন। দুই পক্ষে মাঝে সমঝোতার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর পৌরসভা ভালুকা পাইলট স্কুল রোডে বাসায় পৃথক পৃথক ভাবে বসার কথা ছিল। শুক্রবার আসরের নামাজের পর পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীদের নিয়ে বসে কথা বলার সময় ফুলের মালা নিয়ে নতুন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকগণ নেতা কর্মীদের নিয়ে ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর বাসায় ঢুকার সাথে সাথে দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতি থেকে দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই শ্রমিক নেতা আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে ভালুকা নতুন বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন,নব গঠিত উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সৌমিক হাসান সোহাগ,সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ সুজন, পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদাক সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা শ্রমিকদলের সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন মন্ডল, শরিফুল ইসলাম খান, পৌর শ্রমিকদলের সহ সভাপতি মাহবুবুল আলম ও পৌর শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল।পদ বঞ্চিত শ্রমিক নেতা কায়সার আহম্মেদ কাজল বলেন, আমি পারিবারিকভাবে বিএনপির লোক। নিজে ছাত্রদল,যুবদল করেছি এখন শ্রমিকদল করছি। আমার বড় ভাই জাহাঙ্গীর মোঃ আদেল ২৫বছর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।তিনি অকালে মারা গেছেন। বর্তমানে আমার পরিবারের লোকজনের ওপর ৪০টি মামলা রয়েছে। দলের জন্য পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজনের হাতে নির্যাতিত হয়েছি, জেল খেটেছি।দলের দুঃসময়ে এখনো দলের সাথেই আছি। আমাদের মতো নেতা দেরকে বাদ দিয়ে বসন্তের কোকিলদের দিয়ে কমিটি দিয়েছে। এ কমিটি আমরা মানি না। তারা যখন ফুল নিয়ে ওই বাসায় ঢুকে তখন দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ সুজন বলেন, নতুন কমিটির সদস্য ও পদ বঞ্চিতদের নিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর বাসায় বসার কথা ছিল। আমরা ফুল নিয়ে নেতাকে বরণ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাদের ওপর হামলা করলে দুইজন নেতা আহত হন। ভালুকা মডেল থানা (অফিসার ইনচার্জ) কামাল হোসেন বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।##