‘করোনা উপসর্গ’ নিয়ে কাশিপুর বাংলা বাজার আমবাগান এলাকায় এক বৃদ্ধ ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারায় যান।
এদিকে শনিবার রাত ১১টার দিকে মৃত ব্যাক্তির বাড়িসহ পুরো এলাকা লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক ও জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডা জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো এলাকা লকডাউন করে দেন।
এর আগে ৩ এপ্রিল তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
সূত্র জানায়, মৃত ব্যক্তিটি গত ৮ থেকে ৯ দিন ধরে জ্বর-সর্দি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এতদিন বাড়িতেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার তার অবস্থার অবনতি হলে বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৯ টায় তিনি মারা যান।
সূত্র আরো জানায়, মারা যাওয়ার পর তার লাশ তার ছেলে বাড়িতে নিয়ে আসতে চাইলে বন্ধুরা এতে বাধ সাধেন এবং আইইডিসিআরে পরীক্ষা করাতে বলেন। পরে, আইইডিসিআরে সংবাদ দেয়া হলে নিহত তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে এদিন রাতে আইইডিসিআরের রিপোর্টে তার আসে। এরপরই সরকারি ব্যবস্থাপনায় খিলগাঁ তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বিশেষ ব্যবস্থাপনায়।
নিহতের ছেলে জানান,তার বাবা কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। প্রথমে মির্ডফোড হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল ভর্তি না রেখে শুক্রবার কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠায়। শনিবার সকালে তিনি মারা যান। আমরা লাশ নারায়ণগঞ্জ নিতে চেয়েছিলাম, কিন্ত দেয়া হয়নি।
জেলা করোনা সংক্রান্ত ফোকাল পার্সন ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, লোকটি অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে গেছেন, এলাকার লোকজনের সাথে দেখা হয়েছে। পুরো এলাকা লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক জানান,এলাকা লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক নারী। তিনি ৩০ মার্চ মারা গেলেও ২ এপ্রিল আইইডিসিআরের রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে।