১৮ জুলাই ২০২৩, কাগজ প্রতিবেদক, শেরপুর :
কালের সাক্ষী হয়ে আছে মোঘল আমলের “ঘাগড়া লস্কর খানবাড়ি জামে মসজিদ” স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন ঐতিহাসিক খানবাড়ি মসজিদটি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত। প্রাচীনতম মসজিদের নাম ও কালক্রমে ঘাগড়া লস্কর খানবাড়ি মসজিদ নামেই পরিচিত। শেরপুর জেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে মসজিদটি অবস্থিত। গ্রামের যে নিদর্শন মেলে তাতে অনুমান হয় মোগল সম্রাট আমলে বক্সার বিদ্রোহের নেতা হিরোঙ্গী খাঁর বিদ্রোহের আমলের নির্মিত। দরজায় কষ্টিপাথরে খোদাই করে আরবিতে প্রতিষ্ঠাকাল হিজরি ১২২৮ এবং ইংরেজি ১৮০৮ সালে লেখা। গঠন পদ্ধতিতে স্থাপত্য কৌশল শিল্পসমৃদ্ধ সদৃশ্য। ভেতরে দুটি সুদৃঢ় লিখান। এক গম্মুজবিশিষ্ট মসজিদটির দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমান। ভেতরের ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ৩০ফুট প্রস্থ। মধ্যস্থলে বড় গম্মুজের চারপাশে ছোট বড় দশটি মিনার। মধ্যে চার কোনায় চারটি মিনার। একটি দরজা এবং ভেতরের মেহরাব ও দেয়ালে অঙ্কিত কারুকাজের ফুলদানী ও ফুল। ৫৮শতক জমির উপর মসজিদের মূল ভবন। বারান্দা ১৭ শতকে ও ৪১শতকে কবরুস্থান। ইমাম হাফেজ মোঃ রহুল আমিন জুম্মাসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ান। ২১ সদস্য কমিটির করা হলেও সভাপতি মৃত্যুর পর কমিটি করা হয় নি। স্থানীয় শতবর্ষী ডাঃ আবদুল বাড়ি, আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার, আলহাজ রেজাউল রহমান মাস্টার ও সরোয়ার্দী দুদু মন্ডলসহ এলাকাবাসী ও ইতিহাস থেকে জানা যায় নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর যুদ্ধারা আত্মগোপনে থাকে। আজিমোল্লাহ খাঁন নামে যুদ্ধা এখানে বসবাস করেন। তিনিই মসজিদটা প্রতিষ্ঠা করেন।