বাসস :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২৮ জন সরকারি কর্মকর্তা ও দু’টি সরকারি বিভাগকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার-২০২৩’ দিয়েছেন।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার দেন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে জন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা, মননশীলতা এবং উদ্ভাবনী প্রচষ্টাকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির অধীনে পুরষ্কারটি দেয়া হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ‘নীতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সংস্কার’ বিভাগে এবং ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ‘মানব কল্যাণে গবেষণা এবং এর ব্যবহার’ বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়।
‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ, সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) নূর-ই-আলম, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন ও রায়পুর উপজেলার ইউএনও অঞ্জন দাস।
‘উন্নয়ন প্রশাসন’ ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক এডিসি কে এম ইয়াসির আরাফাত, সাবেক সহকারী কমিশনার বাসুদেব কুমার মালো এবং সাবেক সহকারী কমিশনার শেখ নওশাদ হাসান।
‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে চার কর্মকর্তা-শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক উপ-পরিচালক মাতলুবর রহমান, জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেনকে পুরস্কার দেয়া হয়।
‘পরিবেশ উন্নয়ন’ বিভাগে পাঁচজন কর্মকর্তা পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন, হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, এডিসি (সাধারণ) মিন্টু চৌধুরী, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার, সহকারী কমিশনার নাভিদ সারোয়ার ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।
‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’ বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়েছে পাঁচজন কর্মকর্তাকে।এরা হচ্ছেন গাইবান্ধা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপ-পরিচালক আবদুস সবুর, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক ও পলাশবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান।
‘দুর্যোগ ও সংকট ব্যবস্থাপনা’ ক্যাটাগরিতে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. খায়রুজ্জামানকে পুরস্কার দেয়া হয়।
‘পাবলিক সার্ভিসে উদ্ভাবন’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও র্যাব-১১ এর সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের কমান্ডার মির্জা সালাহউদ্দিন এবং ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ ক্যাটাগরিতে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা।
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে বঙ্গবন্ধু জন প্রশাসন পুরস্কার পেয়েছেন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক।
এছাড়া ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ ক্যাটাগরিতে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও সাদি উর রহিম জাদিদকে পুরস্কার দেয়া হয়।
পুরষ্কার প্রাপ্তরা তাদের নামের শেষে ‘বিপিএএ’ শিরোনাম ব্যবহার করতে পারবেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) ও রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামস প্রশংসাপত্র দেয়া হয়েছে। একক অবদানের জন্য দেয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস প্রতি বছর ২৩ জুলাই পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রথমে সুশাসন, পাবলিক সার্ভিসে উদ্ভাবন’।