জবি সংবাদদাতা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের সরে দাঁড়ানোর কথা জানান ১৪ সমন্বয়ক। আর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সমন্বয়ক মো. নূর নবী।
যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ আগস্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াকু বীর ইকরামুল হক সাজিদ দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর শহীদ হন। আমরা তাঁর মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে স্মরণ করছি আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, তানভিন, ফাহাদসহ সব শহীদকে। যাঁদের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এই আত্মত্যাগকে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেবেন না।
যৌথ বিবৃতি দেওয়া সমন্বয়করা হলেন ইভান তাহসীব, কিশোর সাম্য, সিয়াম হোসাইন, অরুণাভ আশরাফ, মুজাহিদ বাপ্পি, শওরীন হাসান ইরা, নাজমুল হাসান, ফয়সাল মুরাদ, মুগ্ধ আনন, খাদিজা তুল কুবরা, কামরুল হাসান রিয়াজ, কাজী আহাদ, আপেল মৌলানা, যুবায়ের আহমেদ শাফিন।
এদিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নূর নবী লেখেন, ‘আমি মো. নুর নবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হিসেবে শুরু থেকেই সব আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শহীদরা যে রক্ত দিয়েছেন, তা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদদের আত্মত্যাগে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশে যেকোনও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবো, ইনশাআল্লাহ। আজ থেকে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।’