কাগজ প্রতিবেদক
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গিয়ে জনগণের বিজয় নস্যাৎ করতে উস্কানি দিচ্ছেন। দেশ-বিদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতারাও ষড়যন্ত্র করছেন। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র গণ আন্দোলন নিছক কোনো আন্দোলন ছিলো না, ১৫ বছরের পুঞ্জীভূত জনগণের তীব্র ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটেছে গণ বিপ্লবের মাধ্যমে। স্বৈরাচার হাসিনার পতনে জনগণের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে, কিন্তু পরিপূর্ণ বিজয় অর্জিত হতে আরও পথ পারি দিতে হবে। প্রশাসন ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে আওয়ামী প্রেতাত্মা খুনী হাসিনা ও তাদের দোসরদের অপসারণ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সোমবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে কয়েকটি সমাবেশ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি হালুয়াঘাট পৌর শহরে দলীয় কার্যালয়ে শহীদ বিজয় ফরাজী, শহীদ রাজু মিয়া, শহীদ সেলিম শেখের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। বিকেলে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের শহীদ সুমন মিয়া, গামারীতলা ইউনিয়নের শহীদ মফিজুল ইসলাম ও কালিকাবাড়ি গ্রামে শহীদ হাফেজ সাদেকুর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।
জনসমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না, প্রতিটি হত্যা, গুম, দূর্ণীতি, লুটপাটের এবং গণতান্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার হরণের দায়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন , আন্দোলনের বীর শহীদদের অসচ্ছল পরিবারের এবং আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে । এ বিষয়ে তিনি অন্তবর্তী সরকারের প্রতি উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান। বিএনপি নিহত পরিবারের পাশে থাকার এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আন্দোলনে নিহত ও আহতদের সুখ দুঃখে খোঁজ খবর রাখারও আহ্বান জানান। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদেরকে সমবেদনা জানান এবং অর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
এসময় দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে এবং আব্দুল খালেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির, সাবেক চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান, জুয়েল খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে সন্ধ্যায় কলসিন্দুর বাজারে গামারীতলা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন এবং সেখানে এক স্বতঃস্ফুর্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।