দেশে করোনাভাইরাসে নতুন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে দুইরকম তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ সোমবার মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সভায় জানিয়েছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন মারা গেছেন চারজন। কিন্তু বেলা ২টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন প্রেসব্রিফিংয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন এ সংখ্যা তিনজন। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা জানিয়েছিলেন ২৯ জন কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্রিফিংয়ে বলা হলো এ সংখ্যা ৩৫।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৩ জন এবং মোট আক্রান্ত হয়েছে ১১৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী করোনায় মোট মারা গেছে ১২ জন এবং মোট আক্রান্ত হয়েছে ১২৩ জন। এর মধ্যে ঢাকা জেলার ৬৪ জন।
৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এটাই প্রথম সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত করা হলো।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, নতুন শনাক্তের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। তিনি বলেন, নুতন শনাক্তের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের কোঠায় ১১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের কোঠায় আছেন ৬ জন। ঢাকা শহরের ৬৪ জন ছাড়াও নারায়ণগঞ্জে ২৩ জন, এরপরই মাদারীপুরে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ১২ জন শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ৪৬৮ টি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনো পযন্ত মোট ৪ হাজার ১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৮ জনের সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের শনাক্ত করা গেছে অবশিষ্ট ৩৫ জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে।
যদি কোথাও কম দূরত্বে একই ধরনের কেস পাওয়া তবে তা ‘ক্লাস্টার’ হিসেবে ধরা হয়। এ পর্যন্ত ১৫টি জেলায় কেস পাওয়া গেছে।